শিক্ষা

প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের ঈর্ষণীয় সাফল্য

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবছরও জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ঈর্ষণীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।

২০২২ ও ২০২৩ সালের জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ৩৯টি প্রথম স্থানসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পুরস্কৃত হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে ১০টি প্রথম স্থান, ৯টি দ্বিতীয় স্থান ও ২টি তৃতীয় স্থান অর্জন করে সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। জেলা পর্যায়ে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীরা সিলেট বিভাগে প্রতিযোগিতা করে তাদের মননশীল প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন>> শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের সাফল্য

বিভাগীয় পর্যায়ে ‘খ’ গ্রুপ-২০২২ এর অভিনয় ও ‘গ’ গ্রুপ-২০২৩ এ অভিনয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে এ প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা জান্নাত। বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া এ শিক্ষার্থী আগামী ২৯ জুলাই জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে ১টি দ্বিতীয় স্থান ও ৫টি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল।

আরও পড়ুন>> করোনায় কৃষি থেকে সহায়তা না এলে এমন সম্মেলনে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না

জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের সফলতার বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ মো. মুবিনুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বরাবরই ভালো করে আসছে। জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতার সমন্বয়ে বিশ্বমানের নাগরিক তৈরি করাই প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, মননশীল ও সৃজনশীল চর্চার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফলও অত্যন্ত ঈর্ষণীয়। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জিপিএ-৫ সহ শতভাগ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়, যা হবিগঞ্জ জেলায় একমাত্র। গত বছরের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় ১০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১০ জনই বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন ট্যালেন্টপুল এবং ৪ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায়। আমাদের এ শিক্ষার্থীরাই তাদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নামকে আরও উজ্জ্বল করবে।

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/ইএ