শরীয়তপুরের ইব্রাহিমপুর ফেরি ঘাটে নৌপথে ফেরি সঙ্কট থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘাটে প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট রয়েছে। নষ্ট হচ্ছে বিভিন্নধরনের কাঁচামাল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের বালারবাজার এলাকা থেকে শুরু করে ইব্রাহিমপুর ফেরি ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীসহ গাড়ির চালক, হেলপার ও এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যাত্রীবাহী বাস ও পন্যবাহী ট্রাক শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরি ঘাট দিয়ে চলাচল করে। এই নৌপথে ১টি বড় ফেরি ও ৩টি ছোট ফেরি চলাচল করে। বেশিরভাগ সময়ে একটি ফেরি অচল থাকে। বর্তমানে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ইলিশ ফেরিঘাট ৪দিন ধরে বন্ধ থাকায় ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েই চলছে। বর্তমানে এই ঘাটে এক হাজারেরও বেশি গাড়ি আটকে রয়েছে। গাড়ির চালকদের অভিযোগ, যারা লাইনম্যানকে টাকা দেয় তাদের সিরিয়াল আগে দেয়। যার কারণে কিছু ট্রাকের বহনকৃত কাঁচামাল পঁচে যাওয়ার পথে। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা। ট্রাক চালক সুমন বলেন, আমি এখানে ৪দিন ধরে ট্রাক নিয়ে আটকে আছি। আমার কাঁচামাল পঁচে যাওয়ার পথে। মালিক আমাকে অনেক গালাগালি করতাছে। কবে যাব বলতে পারছিনা।আরেক ট্রাক চালক খলিল জানান, যশোর থেকে এখান দিয়ে চট্রগ্রামে যাব। আমি এই ঘাটে ৫ দিন ধরে আছি, অনেক দূরে অছিলাম এখন ঘাটের কাছাকাছি আইছি। আমাদের কষ্ট কে দেখে ভাই।বিআইডব্লিউটিসি এর প্রান্তিক অধীক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, শরীয়তপুর ইব্রাহিমপুর ও চাঁদপুর হরিণা ঘাটে পারাপারের জন্য মোট ৪ টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্য থেকে ১ টি ফেরী বেশির ভাগ সময় অচল থাকে। কয়েকদিন ধরে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ইলিশ ফেরিঘাটে পারাপার বন্ধ থাকায় এ দিক দিয়ে গাড়ি আসায় এত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।ছগির হোসেন/এফএ/পিআর