জাতীয়

রিজার্ভ লুটে তিন দেশের অপরাধী জড়িত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনা একটি ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। বাংলাদেশসহ আরও তিনটি দেশের অপরাধীরা এর সঙ্গে জড়িত বলে মন্তব্য করছেন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) অরগানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।তিনি বলেন, বাংলাদেশে তদন্ত শেষে অন্য তিনটি দেশে তদন্ত টিম কাজ শুরু করবে। সিআইডি সদর দফতরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কম্পিউটার থেকে সাধারণত তথ্য আদান প্রদান ও এসএমএস চালাচালি হয় আমরা সেসব কম্পিউটারের ডাটা সংগ্রহ করছি। এসব পিসির ব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে তাদেরকে আমরা অভিযুক্ত করছি।এফবিআই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাকী বলেন, এফবিআই আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তদন্ত সংস্থা। আর সিআইডি বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা। এফবিআই-এর সঙ্গে এখনো আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। রোববার তাদের সঙ্গে বসা হবে। সেখানে কথা বলে চূড়ান্ত হবে তারা কি বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো তদন্তে কিছুই করতে পারি নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় সাড়ে তিন ৪ হাজার কম্পিউটার। সব কম্পিউটারের ডাটা সংগ্রহ করা কঠিক ব্যাপার। তবে আমরা চেষ্টা করছি।তদন্তে ২০ জন কর্মকর্তা সবসময় কাজে করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশও সহযোগিতা করছে। আশা করছি খুব দ্রুত অপরাধীরা শনাক্ত হবে।আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, অপরাধী যে দেশেরই হোক না কেন তদন্তে অবশ্যই তা বেরিয়ে আসবে। আমরা তাই চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানি লন্ডারিং, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন এবং পেনাল কোডে মামলা হয়েছে। পেনাল কোড ছাড়া বাকি দুই আইন দেশীয় বিবেচনায় করা হলেও তা কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনও বটে। সুতরাং অপরাধী যে দেশেরেই হোক না কেন জাতিসংঘ, কিংবা ইন্টারপোলের সহায়তায় ও সংশ্লিষ্ট দেশের ল ইনফোর্স বাহিনীর সহায়তায় অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।জেইউ/এআরএস/এমএস