নওগাঁয় নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) উপকেন্দ্রের একটি প্যানেল বোর্ড শর্টসার্কিটে পুড়ে গেছে। এতে দুপুর ১টা থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) নওগাঁ শহরের কাঁঠালতলীতে ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে এ শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই উপকেন্দ্রের প্যানেল বোর্ড মেরামতের কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে শহরের কাঁঠালতলীতে নেসকোর ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে একটি প্যানেল বোর্ড শর্টসার্কিটে পুড়ে যায়। এরপর থেকেই নওগাঁ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। শহরের হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক, বিমা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিকল্প ব্যবস্থায় জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
কাঁঠালতলী উপকেন্দ্রের পাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মেরামতকারী রায়হান বলেন, দুপুর ১টার দিকে উপকেন্দ্রের মধ্যে বিকট শব্দ হয়। পরে তাকিয়ে দেখি ধোঁয়া উঠছে। তারপর থেকে বিদ্যুৎ নেই। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টাতেও স্বাভাবিক হয়নি।
শহরের চকমুক্তার মহল্লার মনোয়ার হোসেন বলেন, এত বিদ্যুতের সমস্যা বলে প্রকাশ করার মতো না। যখন গরম শুরু হয় তখনই বেশি বেশি লোডশেডিং হয়। যেদিন আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক থাকে তখন কোনো সমস্যা হয় না। পাঁচ মাসের নাতিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। গরমে কান্না করছে। শুধু বাচ্চা না গরমে আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে।
শহরের কাজীর মোড় এলাকার একটি ক্লিনিকের ম্যানেজার ওয়াহেদ আলী বলেন, দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প হিসেবে তেল পুড়িয়ে জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় খরচও বেশি পড়ছে।
এ বিষয়ে নেসকো নওগাঁ বিক্রয় ও বিতরণ (দক্ষিণ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিমুল হক বলেন, উপকেন্দ্রের কন্ট্রোল সিস্টেমের একটি প্যানেল বোর্ড শর্টসার্কিটে পুড়ে গেছে। মেরামতে কাজ করা হচ্ছে। তবে পুরোটা ঠিক হতে সময়সাপেক্ষ। এরইমধ্যে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই একই সমস্যায় প্রায় ১০ ঘণ্টা নওগাঁয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
আব্বাস আলী/এমআরআর/এএসএম