দেশজুড়ে

আন্দোলনে যাচ্ছে বগুড়ার ৪৩০ জন স্বাস্থ্য সহকারী

আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বেতন বৈষম্য দূর করা না হলে আন্দোলনে যাচ্ছেন দেশের প্রায় ২১ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী। শুক্রবার বিকেলে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসটেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মো. আযম উদ্দিন সরকার।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪শ স্বাস্থ্য সহকারী শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস, ধনুষ্টংকার, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ, ইপিআইসহ অন্ধত্ব দূরীকরণে  মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা টেকনিক্যাল পদ মর্যাদার দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার তা বাস্তবায়ন না করায় তারা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারীদের মহাসমাবেশে তাদের পদ-মর্যাদাসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর, অর্থ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কমিটির অনুকূল সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সহকারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি তথা পশু-পাখি,ও প্রাণী চিকিৎসা সেবা করে তারা বিগত ৩০ বছর পূর্ব থেকে টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা পেয়ে আসছেন। অথচ মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেও স্বাস্থ্য সহকারীরা টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করা না হলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে সারাদেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান নিগেল, মাসুদ রব্বানী, আশরাফুল ইসলাম, সোহেল রানা, শাহ আলম, আবু মোহাম্মদ জেহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।লিমন বাসার/এমএএস/এমএস