দেশজুড়ে

একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অবকাঠামোর উন্নতি হলেও সেবার মানে কোনো পরিবর্তন হয়নি মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। হাসপাতালে একজন মাত্র পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে। ১৪ বছর পর এক্স-রে মেশিন সচল হলেও অপারেটরের অভাবে সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের গাইনী বিভাগে প্রচণ্ড গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় অর্ধশত নারী। ভেতরে বসা ডাক্তারও ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে জানালা দিয়ে আসা ক্ষীণ আলোর ওপর ভরসা করে রোগী দেখছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করছেন। এমন অবস্থা কত সময় জানতে চাইলে ডা. ফারজানা ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালে পাঁচজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জায়গায় রয়েছে মাত্র ১জন। ৯ জন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও এ পদেও রয়েছে একজন। কোনো রেডিওলজিস্ট নেই। ২১ জন চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছে ১৯ জন।

আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বেতন ২৫০ টাকা!

এরশাদ উল্লাহ নামের এক রোগী জানান, হাসপাতালে আগেও এসেছি। ডাক্তার-নার্স বেশ খোঁজখবর রাখছেন। ওষুধপত্রও দিচ্ছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ একবার গেলে দুই-চার ঘণ্টা আর আসে না।

সুমাইয়া আফরোজ নামের এক রোগী জানান, এক সময় নিয়মিত চিকিৎসক ও ওষুধ পাওয়া যেত না। এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন। উন্নত সেবাও পাচ্ছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. কবির হোসেন বলেন, ছোট সাইজের একটি জেনারেটর থাকলেও সেটির জন্য ফুয়েল বরাদ্দ নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। যেখানে কমপক্ষে পাঁচজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে ৫২টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। এছাড়াও হাসপাতালে ওয়ার্মার, কার্ডিয়াক মনিটর, ওটি লাইট, লেবার বেড, হ্যান্ড ল্যাম্প, হুইল চেয়ার, ইসিজি ও সাকার মেশিন রয়েছে।

এম মাঈন উদ্দিন/আরএইচ/জেআইএম