বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা লুটের ঘটনা তদন্তে রোববার মাঠে নামছেন সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, তিন সদস্যের কমিটির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি সচিবালয় করা হবে। সেখান থেকেই সব ধরনের কাজ করবেন তারা। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হবে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস এবং বুয়েটের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। কমিটি গঠনের পর তদন্তকারী দলের প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন জানান, আগামী রোববার থেকে কাজ শুরু করতে চান তারা।ফরাসউদ্দিন বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তাই তদন্তকাজ চলাকালীন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আগে তদন্ত শেষে করে সরকারের কাছে রিপোর্ট দেয়া হবে। এদিকে সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনসহ তিনটি দেশের জড়িত ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চাইবে বাংলাদেশের তদন্ত কমিটি। ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এবং শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হবে। তাছাড়া তদন্তে থাকবেন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা।তদন্ত কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কীভাবে ও কার বরাবর অবৈধভাবে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ গেছে তা খতিয়ে দেখবে অবৈধ অর্থ পরিশোধ ঠেকানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ পর্যাপ্ত ছিল কি না, রিজার্ভ চুরির বিষয় কেন বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতে সরকারের কাছে গোপন করেছে, এর পেছনে যৌক্তিকতা কতটুকু তা বের করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে কমিটিকে।এছাড়া কমিটি রিজার্ভ চুরির সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এবং দায়িত্বের অবহেলা ছিল কি না, যে অর্থ চুরি হয়েছে তা উদ্ধারের সম্ভাবনা এবং এ ব্যাপারে নেয়া কার্যক্রম সরকারকে জানাবে ।ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে হ্যাকাররা তার জন্য কি কি নতুন পদক্ষেপ নেয়া দরকার তারও সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে সরকারের এই কমিটি।এসএ/এসকেডি/এআরএস/এবিএস