দেশজুড়ে

পরিচয় গোপন করে তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, এসআই বরখাস্ত

বগুড়ায় নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন করে তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে মিথুন চক্রবর্তী নামের পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, সাতমাস আগে জেলার শেরপুর থানায় যোগদান করেন এসআই মিথুন চক্রবর্তী। এরই মধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে ৯৯৯ নম্বরে থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসআই মিথুন চক্রবর্তী। সেখান থেকেই ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। একপর্যায়ে নিজের পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুলিশ কর্মকর্তার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন ভুক্তভোগী তরুণী।

একপর্যায়ে গত ২২ জুলাই ঘটনাটি জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। পরে অভিযোগটি তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা জানান, মিথুন চক্রবর্তী ৬-৭ মাস শেরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। কিন্তু চলতি মাসের ১ তারিখ তাকে থানা থেকে আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়েছে।

তবে এসআই মিথুন চক্রবর্তীর নামে জেলার পুলিশ সুপার বরাবর করা এক তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।

আদমদিঘী থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গত ৮ আগস্ট এসআই মিথুন চক্রবর্তী আদমদীঘি থানায় যোগদান করেন। পরদিন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সই করা সাময়িক বরখাস্তের এক আদেশ থানায় পৌঁছালে তাকে থানা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত (ক্লোজড) রয়েছেন বলে জানান তিনি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ জানান, এসআই মিথুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত শেষে পুলিশ সুপারের দপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে এসআই মিথুন চক্রবর্তীর দাবি, অভিযোগকারী তরুণীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেটি মীমাংসা হয়ে গেছে। এরপরও বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এসআর/জেআইএম