দেশজুড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ভোটগ্রহণ শেষ

ককটেল হামলা, ব্যালট পেপার লুটের মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা আর বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির নির্বাচন বর্জনের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে ৪৮টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা।ভোটগ্রহণের শুরুতেই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুনিয়াউট সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে একদল দুর্বৃত্ত ককটেল হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ও সিল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুই ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।এদিকে, বেলা সোয়া ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিসেস নায়ার কবিরের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট কারচুপি ও বিএনপির এজেন্টদের জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বেরে করে দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ বাতিল করে পুণনায় নির্বাচন দেয়ারও দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে কচির সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সরকারি কলেজের সামনে আসামাত্র কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এর পরপরই কলেজের পেছন থেকে অন্তত অর্ধ-শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনা ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রে সাময়িক সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, সাধারণ কাউন্সির পদে ৬০ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সির পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ২৯৩৭ জন। এর মধ্যে পুুরুষ ভোটার ৫১ হাজার ২৭ জন এবং নারী ভোটার ৫১ হাজার ৯১০ জন।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/এবিএস