বন্যার ১০ দিন পরও কাদা শুকায়নি বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগের ক্যাচিংঘাটা সাব বিদ্যুৎ অফিসে। এখনো কর্দমাক্ত অফিসসহ এর আশপাশ। দীর্ঘদিন কাদা জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) জেলা সদরের নতুন ব্রিজ এলাকার ক্যাচিংঘাটা উপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, উপকেন্দ্রের এলাকাটি প্রায় হাঁটুসমান কাদায় চলাফেরা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মচারীদের থাকার একতলা ভবনের প্রবেশমুখে এখনো জলাশয় ও কাদাপানি জমে আছে। খুঁটির ওপর স্থাপিত পাঁচটি কেন্দ্র প্যানেল ডুবে গেলেও তেমন ক্ষতি হয়নি। সেগুলোর কাদা সরিয়ে চালু করা হয়েছে। কিন্তু খুঁটির নিচে রাখা সিঙ্গেল–ফেজ, থ্রি–ফেজ ট্রান্সফরমারসহ বহু যন্ত্রপাতি কাদায় ডুবে আছে।
আরও পড়ুন: ১২ দিন পর বিদ্যুৎ পেল থানচিবাসী
উপকেন্দ্রের দ্বিতল বিশ্রামাগারের প্রথমতলা পাহাড়ি ঢলে কাদাপানিতে প্রায় সাত ফুট ডুবে থাকার চিহ্ন আছে। দুর্গন্ধে কর্মচারীদের এখানে থাকা দায়।
অফিসটির দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে অফিসটি প্রায় তলিয়ে যায়। বন্যা পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কোনোরকম কাদামাটি সরিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। তবে অবশিষ্ট কাদামাটি ও পচা দুর্গন্ধে পরিবার নিয়ে অফিস কোয়ার্টারে বসবাস করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সব হারিয়ে দিশেহারা ৭১ হাজার কৃষক
স্টেশনে পুরোনো ট্রান্সফরমারের পাশাপাশি ৫০টি নতুন ট্রান্সফরমারও ছিল। তবে এগুলোর তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন বলেন, বন্যায় বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা শতভাগ চালু করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
'
তিনি বলেন, বান্দরবানের প্রায় সব উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবারাহ সাভাবিক করা গেলেও রুমা এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রুমায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাভাবিক করতে ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে রুমায় যাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: বন্যায় বান্দরবান গণগ্রন্থাগারের ৩০ হাজার বই নষ্ট
জনবল সংকটের কারণে অনেক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বাসভবনে কাদামাটি ও দুর্গন্ধ থাকায় এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করে দিন কাটাতে হচ্ছে। তারপরও জনগণের বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
নয়ন চক্রবর্তী/এসআর/জিকেএস