দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে সিইও সাদের বিরুদ্ধে মামলা

জয়পুরহাটে এমটিএফই অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। এ ঘটনায় কয়েকদিন আগে জয়পুরহাটের সিইও সাদ আলম চৌধুরীর (২৫) বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন মনিরুজ্জামান ইমন (২৪) নামের এক ভুক্তভোগী।

তবে অভিযোগটি অসম্পূর্ণ থাকায় পরে তিনি থানায় এসে মামলা করেন। মামলাটি বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থানায় এন্ট্রি করা হয়েছে। মামলায় কথিত সিইও সাদ আলম চৌধুরী ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার।

অভিযুক্ত সাদ আলম চৌধুরী জয়পুরহাট পৌর এলাকার ইরাকনগর মহল্লায় সহিদুল আলমের ছেলে। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান ইমন জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ান পাড়া মহল্লার মহসিন আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফই) পরিচয়দানকারী সাদ আলম চৌধুরীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বাদী মনিরুজ্জামান ইমনের। শহরের সবুজ নগর এলাকায় এমটিএফইর অফিস ছিল। সিইও সাদ সে অফিসে বিভিন্ন লোকজন নিয়ে সেমিনার/মিটিং এবং ইমনকে সেমিনারে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করতেন। পরে ইমন ও তার বন্ধু সৌখিন একটি সেমিনারে অংশ নেন।

সেসময় এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ করলে মাসিক ৩০ শতাংশ কমিশন পাওয়ার প্রলোভন দেখান সাদ। এছাড়া বিনিয়োগের টাকা ফেরতযোগ্য বলেও জানান তিনি। এমন প্রলোভনে পরে মনিরুজ্জামান ইমন ৬৩ হাজার টাকা ও তার বন্ধু সৌখিন ৫০ টাকা সিইও সাদের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন। এরপর কমিশনের একমাসের ১২ হাজার টাকা তারা তুলতে পারলেও পরবর্তী সময়ে প্রতারণার শিকার হন।

পরে আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন ও অফিস বন্ধ দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

অভিযোগকারী মনিরুজ্জামান ইমন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এর আগে থানায় যে অভিযোগ দিয়েছিলাম সেটি অসম্পূর্ণ ছিল। তাই থানা থেকে আমাকে ডেকেছিল। পরে থানায় গিয়ে মামলা করেছি।’

এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সাদ আলম চৌধুরীর মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। তাই তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক গোলাম সারওয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআর/জেআইএম