দেশজুড়ে

মাঠকর্মীকে এমডির ধর্ষণচেষ্টা, ওসিকে তদন্তের নির্দেশ

ঝালকাঠিতে একটি এনজিওর মাঠকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) উজ্জ্বল খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ দিলে আদালত রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার গ্রামীণ শ্রমজীবী সমবায় সমিতি নামে একটি এনজিও খোলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল খান। সমিতিতে ঋণদান কার্যক্রমের কিস্তির টাকা আদায় করতে মাঠকর্মী হিসেবে ওই কলেজছাত্রীকে চাকরি দেন। প্রতিদিন কিস্তির টাকা উত্তোলন করে দুপুর ২টার মধ্যে জমা দিয়ে বাসায় ফিরতেন ওই ছাত্রী। তবে ওই সময় অফিসে অন্য কেউ না থাকলে একা পেয়ে ওই মাঠকর্মীকে কুপ্রস্তাব দিতেন উজ্জ্বল।

একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে সমিতির সমুদয় হিসাব না দিয়ে চাকরি ছাড়া যাবে না বলে জানান উজ্জ্বল। কিস্তির টাকা জমা দিতে গেলে গত ২০ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে সমিতির কার্যালয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান উজ্জ্বল। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তিনি এ কথা কাউকে না বলতে হুমকি দেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে ২২ আগস্ট সকালে সালিশের কথা হলে উজ্জ্বল এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় কোনো মামলা করলে ভুক্তভোগীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকি দেন উজ্জ্বলের লোকজন। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আল-আমিন পলাশ বলেন, আদালতে মামলাটি পেশ করা হলে শুনানি হয়। শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক তা আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উজ্জ্বল খান মাল্টিপারপাস সমিতির নামে কলেজ পড়ুয়া তরুণীদের মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। এর আগেও তিনি চারজন মাঠকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস পান না। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন তারা।

জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, আমার কাছে আদালত থেকে আজ কোনো মামলার কপি বা আদেশ আসেনি। হাতে পেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. আতিকুর রহমান/এমআরআর/জিকেএস