নওগাঁর বদলগাছীতে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও দুটি বিদ্যালয়ের পাঁচটি গাছ নিলামে বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫ লাখ টাকার মালামাল গোপনে মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। জানা যায়, ভবন দুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তেঁতুলিয়া ও সেনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন দুটি সোমবার বেলা ১১টা ও বিকেল সাড়ে ৩টায় এবং কোলা ও বিষ্ণেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচটি গাছ দুপুর ১২টায় ও ২টায় প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে কোনো রকম নোটিশ বা প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর এসব ভবন ও গাছ কিনে নেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত, মস্তফা, প্রদীপ। এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
রব্বানী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভবনগুলো ও গাছ প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ৫ লাখ টাকার মালামাল গোপনে মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমিও নিলামে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। তবে ছাত্রলীগের ছেলেদের বাধার মুখে অংশ নিতে পারিনি। শিক্ষা কর্মকর্তা আমার নাম দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন ও কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, কাজ না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে একদল লোক। নিলামে কোনো অনিয়ম হয়নি।
তেঁতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব আলম বলেন, আমি মসজিদের মাইকে ভবন নিলামের বিষয়টি জানিয়েছি। তবে নোটিশ টাঙানো হয়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নোটিশ টাঙানো হয়নি। তবে নোটিশ টাঙানো কথা প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের বলা আছে। আমার জানা মতে মসজিদের মাইকে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া আছে নিলামের বিষয়টি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আলপনা ইয়াছমিন জাগো নিউজকে বলেন, নোটিশ আমি পেয়েছি। কেন নোটিশ টাঙানো হলো না বিষয়টি দেখছি। তবে নিলাম ফেয়ার হয়েছে কি না সেটা দেখেন। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজে/এএসএম