তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে খনন করে স্থায়ীভাবে কৃষি আর মৎস্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন চরাঞ্চলবাসী। তাদের মতে, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার সংযোগস্থলের এক কিলোমিটার পূর্ব পর্যন্ত নদী খনন, নদীর দুই তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ড্রেজিং করে যে মাটি উত্তোলন করা হবে তা নদীর দুপাশে ভরাট করলে ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী গাইবান্ধায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বন্যা সহনশীলতা বিষয়ক সংলাপে এসব দাবি উত্থাপন করেন তারা।
কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়ায় এ সংলাপের আয়োজন করেন।
গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর আফতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, সহ-সভাপতি সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম-সম্পাদক সিদ্দিক আলম দয়াল, অমিতাভ দাস হিমুন।
ফ্লাড রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বক্তব্য দেন- ভাটি কাপাসিয়া কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাকশন গ্রুপের (ক্রাগ) সভাপতি রাজা মিয়া, ভাটি বুড়াইল কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স এ্যাকশন গ্রুপের (ক্রাগ) সভাপতি নুর হোসেন, মোবারক হোসেন, দুলা মিয়া, তারা মিয়া, শেফালী বেগম, আসমা বেগম।
সংলাপে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বলেন, তিস্তার কারণেই বর্ষা-খরা দুই মৌসুমেই চরম দুর্ভোগের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। আমরা সরকারের কাছ থেকে এখন আর কোনো রিলিপ চাই না। আমরা এই রাক্ষসী তিস্তা নদীর করাল গ্রাস থেকে স্থায়ীভাবে বাঁচতে চাই। নদীর ভাঙনের কারণে আমরা স্থায়ীভাবে কোথাও মাথা গুঁজে থাকতে পারি না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে চরাঞ্চলের মানুষ একেবারেই বঞ্চিত। স্থায়ীভাবে তিস্তা নদীর ভাঙনরোধ করতে পারলে চরাঞ্চলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দ্রুত পৌঁছাবে। তাই প্রয়োজন নদীর খনন।
এছাড়া চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের বন্যা সহনশীল বসতভিটা উঁচুকরণ, বন্যা সহনশীল টিউবওয়েল স্থাপন, স্কুল মাঠ উঁচুকরণসহ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ সময় একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি আফরোজা লুনা, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি ইদ্রিছুজ্জামান মোনা, ফটো সাংবাদিক কুদ্দুস আলম, জাগো নিউজের প্রতিনিধি শামীম সরকার শাহীন, সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।
শামীম সরকার শাহীন/এসজে/এমএস