ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত বিএনপির প্রার্থী মো. আবদুল খালেক শিকদার রক্তমাখা পাঞ্জাবি পড়েই কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছেন। রক্তমাখা পাঞ্জাবি পড়েই ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন তিনি।আবদুল খালেক শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, “কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদেরকে বের করে দেয়ার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।”তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টরা জাল ভোট দেয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছি। পরে ইকবালকে বলেছি জনগণের উপর কী তোমার আস্থা নেই? তুমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে কিভাবে জাল ভোট দিচ্ছ?”বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ইকবালের চাচাতো ভাই জসিম ও তার অনুসারী পাপ্পু, মামুন, তুহিনসহ অন্তত ১০ জন জাল ভোট দেয়ার সময় প্রতিবাদ জানানোর কারণে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তারা।তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবালের অনুসারী সায়েম হামলার অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির নেতারা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে বাধা দিলে তাদের এক কর্মীর গায়ে হাত দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।তিনি আরো বলেন, পরে পরিস্থিতির কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হন তারা। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার রসুনিয়া ইউপির ৮নং ওয়ার্ডে সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।এমএম/জেইউ/আরএস/এমএস