ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র দখল ও হতাহতের ঘটনা বাড়লেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেউ মাঠে না গেলেও ইসিতে বসেই সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ চার কমিশনার। এলাকা ভাগ করে টেলিফোন, বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে মনিটরিং করছেন তারা।জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক রংপুর ও রাজশাহী, মো. আবু হাফিজ ঢাকা ও ময়মনসিংহ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বরিশাল ও খুলনা বিভাগের খোঁজ নিচ্ছেন। আর তাদের কাছ থেকে সার্বক্ষণিক তথ্য নিচ্ছেন সিইসি।ইসি সূত্র জানায়, “ইউপি নির্বাচনে এই ধরনের মিটরিং এবারই প্রথম।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ বলেন, “আমরা টেলিফোনে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমার দায়িত্বে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। এ বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও এসপিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে।”তিনি আরো বলেন, “আমাদের মনিটরিংয়ে এখনো নির্বাচন সুষ্ঠ হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট। তবে পুরোপুরি সন্তুষ্ট কিনা তা ভোট শেষ হওয়ার পর বুঝা যাবে। সাতক্ষীরা, বরিশাল, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে।”আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা ৮০ শতাংশ টাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য ব্যয় করি। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তার দায় কার? এ দায়িত্ব কে নেবে? আমাদের ম্যানেজমেন্টে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায় আমাদের। কিন্তু ম্যানেজমেন্টে আমরা কোনো ঘাটতি রাখছি না।”মো. আবু হাফিজ বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে বলে দিয়েছি, যে ইউপিগুলোতে ভোট হচ্ছে প্রয়োজনে তার অর্ধেকগুলো বন্ধ হয়ে যাক, তাতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠ হতে হবে।”উল্লেখ্য, দেশে প্রধমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৭১৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।এইচএস/আরএস/এমএস