ভ্রমণ

পায়ে হেঁটে শোভনের দেশভ্রমণ

দেশ দেখা শিরোনামে ‘দেখবো বাংলাদেশ গড়বো বাংলাদেশ’- স্লোগানকে সামনে রেখে গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি বাংলাবান্দা থেকে পায়ে হেঁটে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন জাহাঙ্গীর আলম শোভন। গত ১৭ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম আসেন এবং ১৯ মার্চ কক্সবাজারের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন। ২২ মার্চ তিনি কেরানীহাট থেকে চকরিয়া যাবেন, ২৩ মার্চ চকরিয়া থেকে কক্সবাজার হয়ে ২৪ মার্চ তার টেকনাফ পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের দেশ দেখা কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সহযোগী হিসেবে রয়েছে। বিপিসি’র সৌজন্যে ৬টি মোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি দেশের ১৬টি জেলার প্রায় সাড়ে ৮শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্থানগুলোর তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেছেন।শুধু শখের বশেই তিনি এ যাত্রা শুরু করেননি। চলার পথে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দেশের হয়ে কাজ করার জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করেন।চট্টগ্রামে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এরমধ্যে সিটিজি ব্ল্যাড ব্যাংকের আয়োজনে রক্তদান কর্মসূচি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রোটারি ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।জাহাঙ্গীর আলম শোভন মূলত একজন বিজনেস কনসালটেন্ট। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার স্থায়ী নিবাস ফেণী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায়। তার লেখা শতাধিক প্রবন্ধ রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে। এছাড়া তিনি লোকসাহিত্য ও উন্নয়ন বিষয়ে লিখে থাকেন। লিখছেন ট্যুরিজম নিয়েও। এসব বিষয়ে তিনি বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিলেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন। এরমধ্যে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা ও মুকাভিনয়ে। এছাড়া ফটোগ্রাফি, মার্কেটিং, হিউম্যান রিসোর্স- এসব বিষয়ে তিনি জ্ঞান রাখেন। তার ই-কমার্স বিষয়ক লেখাগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।জাহাঙ্গীর আলম শোভন আশা করেন, তিনি ৪২ দিনের মধ্যে হাজার কিলোমিটারের এই যাত্রা শেষ করতে পারবেন। পথে পথে তিনি শ্রমজীবী মানুষের সাথে নানাভাবে তার সময়গুলো উদযাপনের মাধ্যমে এই কষ্টকর যাত্রাকে সহজ করে নিয়েছেন। দৈনিক ২৫, ৩০, ৩৫ কিলোমিটার হারে তিনি হাঁটছেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর ছবি তুলছেন ও তথ্য সংগ্রহ করছেন।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা পারভেজ এ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সব সময় দেশকে এবং দেশের পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে চায়, তাই শোভনের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে আমরা তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।’তার এই প্রকল্পের স্পন্সর করেছে www.tour.com.bd নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আগামী ২৪ মার্চ তিনি টেকনাফ সফর সম্পূর্ণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।এসইউ/আরআইপি