কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুইটি কেন্দ্রে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাইসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।নিহতরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর হোসেন মেম্বারের আপন ভাই আবদুল গফুর (২৯) ও শাহপরীরদ্বীপ মাঝরপাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে শফিক (২৪)। টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের মাঝের পাড়া কেন্দ্র ও মুন্ডার ডেইল কেন্দ্রে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।তিনি বলেন, মুন্ডার ডেইল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালেট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একদল লোক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আতাউর রহমান জানান, মুন্ডার ডেইলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতালে ৫ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়। এর মধ্যে আব্দুল গফুরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।নিহত আব্দুল গফুর (৩৫) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেনের ভাই।অপর দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সাবরাং এর মাঝের পাড়া কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিন ও মোহাম্মদ সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কয়েক ভোটের ব্যবধানে প্রথমে নুরুল আমিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত এ ফলাফল চ্যালেঞ্জ করেন অপর প্রার্থী মো. সেলিম। এর প্রেক্ষিতে ভোট পুন:গণনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গণনা শেষে সেলিমকে বিজয়ী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় গুলি চালায় উভয়পক্ষের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন ব্যালেট বাক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন।এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন শাহপরীরদ্বীপ মাঝের পাড়া এলাকার দুদু মিয়া বলির ছেলে শফিউল আলম (৩০)।তবে কাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন তা জানাতে পারেননি ওসি মজিদ।এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।সায়ীদ আলমগীর/ এমএএস/এবিএস