প্রবাস

মালয়েশিয়ায় এমআরপি ফিঙ্গারিংয়ে শ্রমিকদের ভিড়

মালয়েশিয়ায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনে এখন প্রবাসী শ্রমিকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তারা ফিঙ্গারিং করাচ্ছেন। শ্রমিকদের একটাই কথা যতই কষ্ট হোক পাসপোর্ট করতেই হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, আগে বারবার তাগিদ দিয়ে সাড়া না মিললেও এখন শেষ মুহূর্তে হাজার হাজার আবেদনকারি উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে তাদের আবেদন জমা দিচ্ছেন। প্রতিদিন দূতাবাসের লোকজন সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সে দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের হাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনো যথেষ্ট সময় আছে। এমআরপি সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে পুরানো পাসপোর্টধারীদের সতর্ক করে ফার্স্টসেক্রেটারি এসকে শাহীন বলেন, এমআরপি না করলে তাদের মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে অবস্থানের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তিনি জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার থেকে ১৫ শ’ জনের এমআরপির ফিঙ্গারিং হচ্ছে। এদিকে ফিঙ্গারিংয়ের তিন-চার মাসেও মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট না পাওয়ার ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন অনেক  আবেদনকারি।এ বিষয়ে ফার্স্টসেক্রেটারি এসকে শাহীন জানান, মূলত ঢাকার এমআরপি কার্যালয় থেকে দেরিতে ডেলিভারি হওয়ার কারণে প্রবাসীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। জন্মনিবন্ধন জটিলতা এবং পাসপোর্টধারী স্থানীয় ঠিকানায় নানা রকম ত্রুটির জন্য ডেমোগ্রাফি ও ইফিক্সসংক্রান্ত আবেদনের সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে। তবে খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে।উল্লখ্য, মালয়েশিয়ায় প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ২০ লক্ষাধিক শ্রমিক আছেন যাদের বৈধভাবে কাজের অধিকার নেই। এদের বৈধ করতে মালয়েশিয়া সরকার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন মাসব্যাপী একটি প্রকল্প চালু করেছে। এ জন্য বাংলাদেশসহ ১৫টি সোর্স কান্ট্রিকে এক গ্রুপে এবং ইন্দোনেশিয়া-মিয়ানমারের আলাদা রেজিস্ট্রেশনের জন্য মোট ৫টি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।মালয়েশিয়ান রি-হিয়ারিং প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য ২টি সেক্টরে ভাগ করেছে। একটি এমপ্লয়মেন্ট তথা শ্রমিকদের অন্যটা টুরিস্ট/সোশ্যাল ভিজিট। এ প্রকল্পকে সামনে রেখেই অবৈধ শ্রমিকরা পাসপোর্ট করতে হাই কমিশনে আসছেন।এমএমজেড/এসএইচএস/আরআইপি