আইন-আদালত

১০ ট্যানারি মালিককে হাইকোর্টে তলব

আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে সরকারের নির্ধারিত স্থানে ট্যানারি স্থাপন না করায় ১০ ট্যানারি মালিককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ এপ্রিল তাদেরকে হাইকোর্টে স্বশরীরে হাজির হয়ে ট্যানারি স্থানান্তর না করার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য বলেছেন আদালত।আদালত অবমাননার এক আবেদন শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ট্যানারি মালিকদের তলব করার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ট্যানারি ১০টি হলো ;১. রানা লেদার ২. জুলেট ইন্টারপ্রাইজ ৩. পূর্বালি ট্যানারি ৪. রুমি লেদার ৫. সালাম ট্যানারি ৬. করিম লেদার ৭. মহিন ট্যানারি ৮. লক্ষীপুর ট্যানারি ৯. এশিয়া ট্যানারি ১০. প্যারামাউন্ট ট্যানারি।মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর পক্ষে রিট আবেদন করেন সংগঠনের সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী। ওই আবেদন শুনানি করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন এবং ট্যানারি স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।আদালতের নির্দেশনা পালন না করায় এর আগে ১০ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের ওই রুল ও নির্দেশনা পালন না করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। শুননি শেষে আজ তাদেরকে তলব করে ব্যাখ্যা চান আদালত। মনজিল মোরসেদ আরো বলেন, শুনানিতে আদালতে বিলেছি যে ২০০১ সালে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য ঘোষিত রায়ে বলা হলেও মালিকরা টালবাহানা করে ট্যানারি স্ব-স্ব স্থানে রেখে ঢাকা শহরের ও বুড়িগঙ্গার নদীর পরিবেশ আরো বেশি দূষণ করে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে।এফএইচ/এসকেডি/এমএস