চট্টগ্রামে হোটেল কক্ষ থেকে নারীসহ ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের পর মারধরের অভিযোগে সিএমপি’র সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মারধরের শিকার সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগের বক্তৃতা ও বির্তক সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লু।আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন অভিযোগটি।আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করে বাদির পক্ষের আইনজীবী আকবর আলী বলেন, ওসি মঈনুল ও এস আই সালেক ছাড়াও অজ্ঞাতনামা দুই পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন, ২০১৩ এর ১৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ শনিবার বিকেলে সদরঘাট থানার একটি আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুকে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে বির্তকে জড়িয়ে পড়ায় পুলিশ জিল্লুকে মারধর করে।জিল্লু দাবী করেন, নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে হোটেল কক্ষে অবস্থানকালে ওসি মঈনুল কোন কারণ ছাড়াই তাকে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় ওসিকে ভাই সম্মোধন করে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে মারধর করেন।পরে এনিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটে যায়। শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেদিন সদরঘাট থানা ঘেরাও করে পুলিশের র্যাকার এবং ক্যান্টিন ভাঙচুর করে জিল্লুকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। এরপর থেকে নগর ছাত্রলীগ ওসি মঈনুলের অপসারণের দাবীতে নগরীতে সভা সমাবেশ করছে।জীবন মুছা/এআরএস/এমএস