মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় কেটে রাখা গাছের ডালপালা বাড়িতে নেওয়ার সময় ভিমরুলের কামড়ে আহত হয়ে মো. আসাদ মাঝি (৪৫) নামে এক প্রবাস ফেরত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আসাদ নূরপুর এলাকার হামিদ মাঝির ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রবাস থেকে দেশে আসেন আসাদ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নৈরপুকুরপাড় এলাকায় রাস্তার পাশের কেটে রাখা গাছের ডালাপালা নিজ বাড়িতে নিতে যান তিনি। এসময় গাছে থাকা কিছু ভিমরুল এলোপাতাড়ি কামড় দিলে গুরুতর আহত হন আসাদ। পরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহতের স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে জানান, বিকেলে ভিমরুল কামড় দেওয়ার পর আসাদের অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করার পরপরই মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সজিব হোসেন বলেন, ভুল চিকিৎসার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রয়োজনীয় ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর মৃত্যু হওয়ার কারণে রোগীর স্বজনরা ধারণা করছেন, ইনজেকশনের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত ভিমরুল-মৌমাছি কামড় দিলে মানবদেহে অ্যানাফাইলেকটিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর কারণে শক থেকে রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাদের ভিমরুল কামড়ের আধাঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনা হলে ইনজেকশন দিলে সুস্থ হয়। এই রোগীর হাসপাতালে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। অ্যানাফাইলেকটিক শকের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, নিহতের স্বজনরা কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরআর/জেআইএম