ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের রোডমার্চে নেতাকর্মীসহ ৪০ হাজার লোকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম।
শনিবার (সেপ্টেম্বর ৩০) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহ থেকে শুরু হওয়া কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীসহ ৪০ হাজার লোকের সমাগম হবে। রোডমার্চে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সব জেলার নেতাকর্মীরা প্রায় ছয় হাজার গাড়ি বহর নিয়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। পথে পাঁচটি পয়েন্টে সমাবেশ হবে। রোববার বিকেল ৩টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন বালুর মাঠে রোডমার্চের সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, চলমান এই এক দফার আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, দেশের মুক্তিকামী সব মানুষের। বিএনপি শুধু বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে। আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কৃষক-শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছে। আমাদের কিশোরগঞ্জে শতশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সম্পাদককে না পেয়ে তাদের সন্তানদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকারকে বলে দিতে চাই, এভাবে শেষ রক্ষা হবে না।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম বলেন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে এ রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববারের রোডমার্চে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এসকে রাসেল/এমআরআর/জেআইএম