দেশজুড়ে

ফরিদপুরে একটানা বৃষ্টিতে স্থবির জনজীবন

ফরিদপুরে এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলায়।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী একটানা মুষলধারে এই ভারী বৃষ্টিপাত হয়। যা এখনও চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, দিনব্যাপী বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ভ্যান-রিকশাচালক, হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। সকাল থেকেই জেলা শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে জরুরি কোনো কাজ ছাড়া বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

এ ব্যাপারে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় রিকশা নিয়ে অলস সময় পার করা রিকশাচালক খবির শেখ জাগো নিউজকে বলেন, আজ সকাল থেকেই একটানা বৃষ্টি। এক মিনিটের জন্য বৃষ্টি থামতে দেখিনি। অন্যদিন বৃষ্টি হলেও শহরে মানুষের আনাগোনা থাকে। বৃষ্টির মধ্যেও মাথায় পলিথিন দিয়ে রিকশা চালিয়ে ভালোই ইনকাম হয়। কিন্তু আজ এতো বৃষ্টির মধ্যে মানুষ বাসা-বাড়ি থেকে তেমন একটা বের হয়নি। এক কথায় রিকশার যাত্রী কম। তাই ইনকামও কম হয়েছে।

সালথা উপজেলার দিনমজুর আকুব্বর হোসেন বলেন, সকাল থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছেই। অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। দিন আনি দিন খাই। স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে আজ কী খাবো সেটাই ভাবছি। আজকের বৃষ্টি এ বছরের সবচেয়ে সেরা বৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে শহরের চকবাজার জামে মসজিদের উল্টো দিকে মোহাম্মদীয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্ট্যুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ দাউদ আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, আজ মনে হয় এ বছরের সবচেয়ে সেরা বৃষ্টি। এক মুহূর্তের জন্যও বৃষ্টি থামেনি। অন্যদিনের তুলনায় হোটেলে বেচাবিক্রি একেবারেই কম। সারা দিনের খরচই উঠবে না।

এ বিষয়ে ফরিদপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ফরিদপুরে অবিরাম বৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ১২৯ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামী আরও ৩ থেকে ৪ দিন ধরে কমবেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা বছরের মধ্যে আজকের বৃষ্টিপাতের হার সর্বোচ্চ।

এন কে বি নয়ন/এফএ/জিকেএস