নাটোরের গুরুদাসপুরে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি অ্যান্ড বিএম ইনস্টিটিউট কলেজে মামলা জটিলতায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের বারান্দায় পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি ২০১০ সালে পাঠদানের অনুমতি পায়। বরাবরই প্রতিষ্ঠানের ফলাফল ভালো হওয়ায় ২০২০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। তবে কলেজে চার তলাবিশিষ্ট ভবন হওয়ার কথা থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রতিষ্ঠানটির স্থানান্তরজনিত কারণে হাইকোর্টে মামলা থাকায় ভবনের বরাদ্দ হচ্ছে না।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জালাল উদ্দিন বর্তমান দক্ষিণ নাড়ীবাড়ী এলাকা থেকে আগের জায়গা বেড়গঙ্গারামপুর এলাকায় পুনরায় কলেজটি স্থানান্তরের দাবিতে ২০১৯ সালে বাদী হয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। ২০২০ সালে আদালত তার পক্ষে রায় দেন। কিন্ত অধ্যক্ষ সাঈদ একই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করায় কলেজ নিয়ে কোন্দল মিটছে না।
শিক্ষার্থী আব্দুল বারী, মো. হাসুসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজটিতে ১০টি শ্রেণিকক্ষের মধ্যে একটিতে অফিস, একটিতে ল্যাব ও আরেকটিতে লাইব্রেরি রয়েছে। অবশিষ্ট সাতটি টিনের বেড়ার শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের অযোগ্য। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ না থাকায় সাড়ে পাঁচশ শিক্ষার্থীকে পাঠদানে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদের বারান্দায় বসিয়ে কোনঠাসাভাবে পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু ভবন বরাদ্দ না পাওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। কলেজের উন্নতিকল্পে সংকট নিরসন ও নানা জটিলতা দূর করতে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আকতার বলেন, প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তর সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোটে মামলা বিচারাধীন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় বলেন, কলেজের ভবন বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হওয়া মাত্রই ভবন নির্মাণকাজে জোর তৎপরতা চালানো হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস