গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
দুজন হলেন- বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার দানসাগর গ্রামের ওয়াজেদ আলী ফরাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম ফরাজী ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার মির্জাপুর গ্রামে কামাল হোসেনের ছেলে আকরাম।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার সাভার থানার একটি মামলায় নজরুল যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ২ এ প্রায় ২০ বছর ধরে বন্দি ছিলেন। রোববার দিনগত রাতে বুকের ব্যথা অনুভব করলে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ডে রাখেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, কারাগার থেকে আনা ওই আসামি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
কারাগারের জেল সুপার আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মারা যাওয়া বন্দির পরিবারের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আকরামও মারা গেছেন। সোমবার দিনগত রাতে তিনি মারা যান। তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সোমবার রাতে তিনি কারাগারের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের জানানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসজে/এএসএম