দেশজুড়ে

জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনায় সিক্ত বক্সার সুর চাকমা

এবিএফ ইন্টারকন্টিনেন্টাল সুপার লাইটওয়েট প্রতিযোগিতা ২০২৩ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় রাঙ্গামাটির সন্তান বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমাকে সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস.এম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ ইমরান, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল আমিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুর কৃষ্ণ চাকমা দেশের জন্য এক অসামান্য কৃতিত্ব বয়ে এনেছেন। একজন খেলোয়াড়ের মাধ্যমে একটি দেশ খুব সহজেই বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করতে পারে। সুর কৃষ্ণ চাকমা রাঙ্গামাটির দুর্গম একটি উপজেলা থেকে উঠে এসে বক্সিংয়ের মতো একটি অপ্রচলিত খেলায় এতটা সুনাম বয়ে এনেছে। এটি রাঙ্গামাটিসহ সমগ্র দেশের জন্য গৌরবের।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ডিসি ফরিদপুরের কামরুল আহসান

বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা বলেন, আমি ২০০৭ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হই। আমার ইচ্ছে ছিল ফুটবলার হবো। কিন্তু একসময় আমার বক্সিংয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। কিন্তু তখন বাংলাদেশে প্রফেশনাল বক্সিং হতো না। বক্সিংয়ে ক্যারিয়ার নেই বলে অনেকে আমাকে নিরুৎসাহিত করতো। এরপর ২০১৩ সালে আমি অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে অংশ নেই। সেখানে সেনাবাহিনীর একজন বক্সারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হই। এরপর থেকেই আমার বক্সিংয়ের জার্নিটা পরিবর্তন হতে শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে আমি কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে যাই। ২০১৫ সালে লন্ডনে যাই ছয়মাসের উচ্চতর ট্রেনিংয়ের জন্য। এরপর আরও বিভিন্ন গেমসে অংশ নেই। ২০১৯ সালে ভারতের হরিয়ানায় যাই উচ্চতর ট্রেনিংয়ের জন্য। সেখানে দুটি ম্যাচ খেলি এবং জয়লাভ করি। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রফেশনাল বক্সিং শুরু হয়। আমি আরও ৪/৫ বছর খেলবো। আমি বক্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চাই।

সাইফুল উদ্দীন/জেএস/জিকেএস