সাতটি এতিমখানার এক কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, এতিমখানাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলায় কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুদকের ফরিদপুর অফিসের উপপরিচালক রেজাউল করিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ফরিদুপুরের মধুখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার মোল্যা, খোদাবাজপুর মোমেজান নেচ্ছা মাদরাসা ও এতিমখানার সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ শরীফ, ভূষণা লক্ষণদিয়া এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের সভাপতি মোতালেব হোসেন, ওই প্রতিষ্ঠানের ক্যাশিয়ার মোশারফ হোসেন, মাকড়াইল মাজেদা খাতুন এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদরাসার সভাপতি আবুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক রইচ মিয়া, ফায়জিয়া মুসলিম এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন, মধুখালী মহিলা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল্লাহ, গোন্দারদিয়া দারউস সালাম কওমি মাদরাসা ও এতিমখানা সাধারণ সম্পাদক আলম বিশ্বাস, সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, ব্যাসদী লাল বানু অরফানেজের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ আলী আকবর।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিম খানার এক কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
যেখানে কল্লোল সাহা একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ভাতা সংক্রান্ত ভুল ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসএম/এমকেআর/জেআইএম