জাতীয়

পথে পথে পরিবহন থামিয়ে তল্লাশি, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ

মোহাম্মদ আব্দুল, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বসবাস করেন ঢাকায়। কিন্তু তার মায়ের জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করাতে হবে সে জন্য ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এর আগে আমিন বাজারে যানবাহন আটকে দিয়ে তল্লাশি করা হয়। অনেকে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন। মোহাম্মদ আব্দুলের মায়ের মতো পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন অনেকে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার গাবতলী ব্রিজ ও আমিন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে ঢাকার আশপাশের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি ও নানা কৌশল নিয়েছেন।

তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমিন বাজারে যাত্রীবাহি পরিবহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন হলে আমিন বাজার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঢাকায় প্রবেশ করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইডি কার্ড ও কাগজপত্র দেখাতে পারলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে কোনো ধরনের নাশকতা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকার প্রবেশপথে বসিয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেভাজন ব্যক্তি ও গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।

শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখে সাভারের আমিনবাজার ও আশুলিয়ার বাজার এলাকায় পুলিশের এ তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশও।

সরেজমিনে দেখা যায়, মোটরসাইকেল, যাত্রীবাহি বাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদসহ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষও।

মিরপুর খালেক সিটিতে কাজ করেন নয়ন হাওলাদার। জরুরি কাজে সাভার গিয়েছিলেন। সাভার থেকে আসার সময় কোনো যানবাহন না পেয়ে দুই কিলোমিটার পায়ে ঢাকায় প্রবেশ করেন।

নয়ন হাওলাদার বলেন, আমরা কাজ করে খাই, রাজনীতি বুঝি না। কাজ না করলে পেট চলে না। কিন্তু আমাকে দুই কিলোমিটার পায়ে হাঁটতে হলো, কাজে না আসলে মালিক কথা শুনবে না।

এমওএস/এসএনআর/জেআইএম