মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের খসড়া কপি ফাঁসের ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়েছে।হরতালের কারণে আসামিদেরকে আদালতে হাজির করতে না পারায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। সোমবার ওই আবেদন মঞ্জুর করে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম সামসুল আলম মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী ওইদিন ঠিক করেন।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। রায় ঘোষণার দিন তার পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।রায় ঘোষণার পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার একেএম মাহবুবুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক হোসেন, পিয়ন নয়ন আলী ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান।২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।এফএইচ/বিএ