বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। সড়কে স্বল্প সংখ্যক গাড়ি থাকলেও যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক নেই বললে চলে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে মহাসড়কের শিমরাইল মোড়, মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে ও সাইনবোর্ড গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
আব্দুর রহিম নামের কোমল মিনিবাসের এক চালক বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে সহজেই সড়কে চলাচল করতে পারছি। তবে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। তাই যাত্রীর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাস ভাঙচুর-ট্রাকে অগ্নিসংযোগ, মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
সময় পরিবহনের এক হেলপার জানান, সকাল থেকে তেমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। তবে এক ধরণের আতঙ্কে নিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে।
আরিফুল ইসলামের এক যাত্রী বলেন, সড়কে এসে দেখি রাস্তা ফাঁকা, যানবাহন ও লোকজন অনেক কম। এখন ইচ্ছে না থাকলেও চাকরি রক্ষায় বের হতে হয়েছে। আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছি।
কাঁচপুর শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, সারাদেশে হরতাল থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। সড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে। সাধারণ মানুষরা যার যার মতো করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। আমরা সর্বক্ষণ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ‘অনেক দিন পর হরতাল কেমন হচ্ছে একটু দেখে আসি’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, যে কোনো নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত। যান ও মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমরা কাজ করছি। সকাল থেকে সহজেই সবাই যার যার গন্তব্যস্থলে যেতে পারছে।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/জেএস/এএসএম