হরতালে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে শেরপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ৪০০ এর বেশি নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার পাঁচ থানা এলাকা থেকে ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল, লাঠি ও পেট্রল বোমা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম মামলা ও গ্রেফতারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, শ্রীবরদী থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ২টি এবং শেরপুর সদর, ঝিনাইগাতী, নকলা ও নালিতাবাড়ী থানায় একটি করে মামলা করা হয়। শ্রীবরদীতে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ১০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৫১ জনকে গ্রেফতার করে বিকেলে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতা করার জন্য মাইক্রোবাসে ঢাকা যাওয়ার পথে শনিবার রাতে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
এছাড়া শ্রীবরদী কাঁচাবাজার এলাকায় রোববার সকালে নাশকতার চেষ্টার প্রস্তুতিকালে আরও ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে রোববার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন আনোয়ার হোসেন (৫৫), রহুল আমীন (৪০), আজিজুর রহমান (৫২), ফরিদুল হক (৪৫), ফারুকুল ইসলাম (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪৭), সোহেল (২৭), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হারুন অর রশিদ (২২), মোক্তার হোসেন (৫০) ও আবু তালেব (৪০) প্রমুখ।
ইমরান হাসান রাব্বী/জেডএইচ/