অবরোধ চলাকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে পিকেটিং করার সময় জিলু আহমদ (৩৫) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ সদস্যরা গাড়ি দিয়ে জিলু আহমদকে ধাক্কা দিয়ে আহত করেন। পরে হাসপাতালে না নিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এতেই তিনি মারা যান।
তবে পুলিশের ভাষ্য, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল দলকে দেখে পালাতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে আহত হন জিলু। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিলু আহমেদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের দরা গ্রামের বাসিন্দা।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, অবরোধ চলাকালে পুলিশ-বিজিবি টহল দেওয়ার সময় ধাওয়া করে মোটরসাইকেল আরোহী জিলুকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেয়। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল থেকে তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
এমরান আহমদের দাবি, তাৎক্ষণিকভাবে জিলুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সেটাও কাউকে জানানো হয়নি। পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) সোহেল রেজা জাগো নিউজকে বলেন, সকালে ওই এলাকা দিয়ে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির একটি বহর (টহল দল) যাচ্ছিল। এসময় ওই যুবক পিকেটিং করছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখে পালাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা লেগে পড়ে যান। পুলিশ সদস্যরা এখানে না থেমে ঢাকা-সিলেট মহসড়ক দিয়ে রশিদপুরে নিজেদের দায়িত্ব পালনে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, পরে শুনেছি স্থানীয়রা ওই ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ছামির মাহমুদ/এসআর/এমএস