আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম এ কারখানায় বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরে সারের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমাবে এ সার কারখানা। সার কারখানার কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের।
আরও পড়ুন> ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার মূল কাজ শুরু জুলাইয়ে
২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর সরকার উদ্যোগ নেয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের। এরপর ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় সিসি সেভেন নামে একটি চীনা এবং জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই এর কাজ পুরোপুরি শেষ। এখন পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন করছে কারখানাটি।
আরও পড়ুন> পলাশে সার কারখানা চালু হলে ইউরিয়া আমদানি হ্রাস পাবে: শিল্পমন্ত্রী
দুই মাস আগে কারখানাটি চালু হওয়ায় ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত সার উৎপাদন হবে। ১১০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা। এখান থেকে বছরে উৎপাদন হবে ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার। প্রতিদিন ২ হাজার আটশ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষম দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর সার কারখানাটি।
এনএইচ/এসএনআর/এমএস