দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম গৌর চন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাবলিপুরের কামিনী রায় ছাত্রাবাস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গৌর চন্দ্র হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের ‘এ’ সেকশনের ছাত্র ও নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় এলাকার ভুবন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
সহপাঠীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে গৌর চন্দ্রের বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তার রুমমেট তাকে সেখানে যেতে বললে মাথাব্যথা করছে জানিয়ে রুমেই অবস্থান করেন গৌর। বিকেল ৪টার দিকে তার রুমমেটরা এলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। আশপাশের রুমের ছেলেদের ডাকেন। তখন তারা জোরে-জোরে দরজা ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেন্টিলেটর ভাঙেন। ভেতরে গৌরকে সিলিংফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
গৌরর সহপাঠীদের ধারণা, প্রেমঘটিত বিষয়ে মানসিকভাবে অস্থিরতায় ছিলেন গৌর। সেই থেকে এ ধরণের পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বিষয়টি জানার পরই পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে নিহত শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্সে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে আত্মহত্যা বলে মনে করছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ বলেন, পরিবারকে নিয়ে গৌরর মরদেহ নিতে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় আছি। এখান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহ নিতে পারবো।
এসজে/জেআইএম