বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথমদিনে প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর জনজীবনে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকেই সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীবাহী বাস। এছাড়া সড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশাসহ অন্যান্য সব যানের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একই সঙ্গে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন ও নৌযান চলাচল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলতে শুরু করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।
অভ্যন্তরীণ রুটে বাস, ট্রেন ও নৌযান চলাচলে তেমন কোনো ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এবং হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ‘মহাসড়কে ঝামেলা না হলেও আতঙ্ক কাজ করছে, তাই বাস নিয়ে বের হইনি’
ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন সরদার আলাল বলেন, এখন হরতাল কেউ মানে না। কারণ সবারই সংসার আছে। জীবিকার তাগিদে সবাই বের হচ্ছে। এভাবে হরতাল ডেকে ঘরে বসে দাবি আদায় সম্ভব না। সরকার ও বিরোধী পক্ষ উভয়ের উচিত শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা। হরতাল সবার জন্যই ক্ষতিকর।
রিকশাচালক রোকন মিয়া বলেন, পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। তবে ভয়ে আছি হঠাৎ করে মারামারি-ভাঙচুর শুরু হওয়ার। আমার মতো সাধারণ মানুষরাই সবসময় বিপদে পড়ে।
আলমগীর শেখ নামে এক অভিভাবক বলেন, আজ থেকে মাধ্যমিক স্তরের বাচ্চাদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। এদিকে চলছে বিএনপির হরতাল। বাচ্চাদের নিয়ে ভয় হয়, কারণ কখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি ও ভাঙচুর শুরু হয়।
রুবেলুর রহমান/জেএস/এমএস