দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ মুখে বরই গাছে বিকেল হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে চড়ুই পাখি এসে বসে। এসময় পাখির কিচিরমিচির আর কলরবে যেন মুখোরিত হয়ে ওঠে ষ্টেশন এলাকা।
পাখির ঝাঁক আর কিচিরমিচিরে স্টেশনে আসা যাত্রীরা মনে প্রশান্তি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন গন্তব্যে। সন্ধ্যা যত ঘনিয়ে আসে ততই পাখির আনাগোনা বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের মতো সৌন্দর্য দেখবেন ভারতে যে ৪ স্থানে
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার এ চিত্র এখন প্রতিদিনের। স্টেশনের প্রবেশ মুখে একটি বরই গাছে কমপক্ষে ৫ হাজার পাখির আগমন ঘটে প্রতিদিন। গাছটি পাখিদের নিরাপদ আবাস। বিকেল হলেই গাছের ডাল ও পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাতার চেয়ে পাখিই বেশি দেখা যায়।
যানবাহনের শব্দে ঘরমুখী মানুষ যখন ক্লান্ত, ঠিক তখনই ঝাঁক ঝাঁক পাখির এদিক-ওদিক ওড়াউড়ি দেখে থেমে যান পথচারীরা। শত ব্যস্ততার মাঝেও চড়ুইগুলোর এমন দুষ্টুমির দৃশ্য এক পলক দেখার লোভ সামলাতে পারেন না তারা। এসময় ক্লান্ত মুখে তাকিয়ে পাখির ডাক শুনে আনন্দ পান তারা।
সন্ধ্যা নামলেই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে স্টেশন এলাকাটি। পাখিদের এমন দুষ্টুমিতে একটুও অতিষ্ঠ হন না গাছগুলোর নিচে বসা দোকানিরা। উল্টো কেউ যেন পাখির কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর থাকে তাদের।
আরও পড়ুন: বাই রোডে ভারতের লামাহাট্টা ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, খরচ কত?
স্টেশন এলাকার আরমান টি স্টলের মালিক আরমান হোসেন জানান, সারাদিন যখন পাখিগুলো থাকে না তখন মনে হয় তাদের মাঝে কি যেন নেই। বিকেলে যখন পাখি ফিরে কিচিরমিচির শব্দ শুরু করে তখন তাদের মন প্রশান্ত হয়ে যায়।
স্টেশন চত্তরে ডিউটিতে থাকা কনষ্টবল জাবেদ বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে স্টেশনে ডিউটি করছি। প্রতিদিন বিকেলে স্টেশন চত্বরে একটি বরই গাছে হাজারো চড়ুই পাখি আসে। তাদের কিচিরমিচির শব্দে মনটা ভরে যায়। অনেকে স্টেশন চত্বরে এসে পাখি দেখে দাড়িয়ে যান। তারা ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন।’
আরও পড়ুন: একদিনের জন্য বিয়ে হয় যেখানে
স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট এ.বি.এম. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘স্টেশনে প্রবেশের প্রধান গেটের সামনে একটি বরই গাছে হাজার হাজার চড়ুই পাখি প্রতিদিন বিকেলে এসে বসে। তাদের কিচিরমিচির শব্দে স্টেশন চত্বর মুখোরিত হয়ে ওঠে।
পাখিগুলো দেখে স্টেশনে আসা ট্রেনযাত্রীসহ অফিসের স্টাফরা অনেক আনন্দ উপভোগ করেন। পাখিদেরকে কেউ যেন বিরক্ত না করে সেজন্য আশেপাশের দোকানদারসহ স্টেশনের গার্ডদেরকে বলে রাখা আছে।
এমদাদুল হক মিলন/জেএমএস/এমএস