দেশজুড়ে

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ

আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন শরীয়তপুর-২ এর স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী। এর আগে মনোনয়নপত্রে ভোটারের তথ্যে গড়মিল থাকায় তা বাতিল হয়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের মিলনায়তনে আপিল শুনানিতে তিনি তার প্রার্থীতা ফিরে পান। আপিল শুনানিতে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চারজন কমিশনার।

জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ভোটার তালিকায় ছয়জন ভোটারের তথ্য গড়মিল থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ।

ডা. খালেদ শওকত আলী জাগো নিউজকে বলেন, আপিল শুনানিতে আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাচ্ছেন, সে কারণেই আমি প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।

ডা. খালেদের আইনজীবী এডভোকেট শাহিন খান জয় বলেন, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ছয় জন ভোটারের তথ্যের গড়মিল থাকার কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। আপিল শুনানিতে সেই ছয়জন ভোটার উপস্থিত ছিলেন। আপিল শুনানিতে ভোটারের তথ্য সঠিক এবং বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় এখন তার নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো বাঁধা থাকবে না।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে অফিসিয়াল কোনো চিঠি পাইনি।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসনে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ডা. খালেদসহ মোট ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

 

বিধান মজুমদার অনি/এনআইবি/জিকেএস