আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তর দিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে জনসভায় যোগদানের কথা অস্বীকার করে আদালতকে উত্তর দিয়েছেন মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন নোটিশের উত্তরে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের খাস কামরায় শোকজের উত্তর জমা দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মনোনীত প্রতিনিধিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন ও অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন বলেন, আমরা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে উত্তর জমা দিয়েছি।
শোকজের উত্তরে জানানো হয়েছে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে মেহেরপুর এসেছিলেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অসুস্থতায় মানবিক কারণে রাষ্ট্রীয় গাড়ি ব্যবহার করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী উক্ত চেয়ারম্যানকে দেখতে তার বাড়ি যান। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ায় এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার আগমনের খবর পেয়ে সাধারণ জনগণ চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে ভিড় করে। এ সময় তিনি চার দেওয়ালের মধ্যে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মাত্র, জনসভা করেননি। একইসঙ্গে নির্বাচনের আচরণবিধি নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে গত রোববার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম কবির হোসেন শোকজ নোটিশ করেছিলেন। নোটিশে বলা হয়, ‘কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শোলমারীর বাসভবনের সামনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি গাড়িযোগে পুলিশ প্রটোকল সহকারে জনসভায় উপস্থিত হন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১২ ও ১৪ (২) এর লঙ্ঘন।’
আসিফ ইকবাল/এফএ