মুন্সিগঞ্জের-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপস্থিতিতে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভবেরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসময় কার্যালয়ের আসবাবপত্র, মাইক ভাংচুর এবং তিনজনকে মারধর করা কয়।
আহতরা হলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী এস এম কিবরিয়া (২৪), সজিব (২৩) এবং মাইকম্যান সাগর (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলো। এমন সময় গজারিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা সরকার আঁখির ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক মিলন সরকার কার্যালয়ে ঢুকে গালমন্দ ও মারধর শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবসহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মী কার্যালয়ে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকেন। হামলার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা চলে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক ও ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান সাহিদ মোহাম্মদ লিটন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু ততক্ষণে হামলাকারীরা চলে যায়। এটি যেহেতু বাজার চারপাশের বিভিন্ন দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা যাবে। এ ঘটনায় নিন্দা এবং জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকে দলের ভেতরের একটি অপশক্তি নির্বাচন বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আজকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনার মাধ্যমে তারা এটাই প্রমাণ করেছে যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন তারা চায় না। আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব জানান, ‘সেখানে প্রচারণাকালে মাইকের সাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি শুধু সাউন্ড বন্ধ করে চলে আসি। ভাংচুরের ঘটনা জানি না।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, বিকাল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে দেখলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরাফাত রায়হান সাকিব/এএইচ/জেআইএম