দেশজুড়ে

পর্যটক কম, সুনসান নীরবতা কুয়াকাটায়

থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় করছে হাজারো পর্যটক। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে জ্বল জ্বলে সূর্যকে বিদায় দিয়ে দিনটি স্মরণে রাখতে নিজের মোবাইল-ক্যামেরায় পরিবার পরিজনের ছবি তুলে রাখছেন অনেকে।

সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, মৃদু বাতাসে সৈকতের নারিকেলকুঞ্জ ও ঝাউবাগানের পত্রমালাও সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে দুলছে। গোটা সৈকতে জোয়ারে ভেসে আসা ছোট ছোট ঝিনুক যেন কার্পেটের মতো বিছিয়ে রয়েছে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে। সাগরের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে ছোট ছোট পর্যটকবাহী ওয়াটার বাইক, স্পিডবোট, ট্রলার, লঞ্চ ও ডিঙি নৌকা।

পটুয়াখালী শহর থেকে সপরিবারে আসা রায়হান বলেন, আমরা এ জেলারই মানুষ। সৈকত জেলা শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় পরিবার-প্রিজনকে নিয়ে শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করতে এসেছি। অনেক ছবি তুলে রেখেছি আজকের দিনকে ঘিরে।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনী ঢামাঢোল ও অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটক কম। মাত্র ৩০ শতাংশ পর্যটক পেয়েছে, যা বর্তমান সময়ের জন্য লোকসানের।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে অনেক দর্শনার্থী ও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল। আমরাও সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/এমএস