দেশজুড়ে

আমাদের বিপদে ফেলে সুবিধা নিচ্ছেন জিএম কাদের-চুন্নু

দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লাঙলের দুই প্রার্থী। বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে লাঙল প্রতীকের অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম। যদিও দুদিন আগে সাংবাদিকদের মৌখিকভাবে বলে নির্বাচন থেকে এ দুই প্রার্থী সরে যান।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের অসহযোগিতা করছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তারা আমাদের বিপদে ফেলে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

ক্ষোভ প্রকাশ করে লাঙ্গলের প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, এবারের ভোট কেমন হচ্ছে সেটা তো সবাই জানেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে নির্বাচনের জন্য একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি দলকে টাকা দিয়েছি। দল আমাকে টাকা দেয়নি। তারা যে ২৬ জন আছে সেটা নিয়েই ব্যস্ত। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

হুসাইন মালিক/আরএইচ/এমএস