নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহর নেতৃত্বে চেয়ারম্যান পার্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। মামুনুর রশিদ কিরন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ বলেন, নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের মসজিদের টাকা আত্মসাত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা মুসল্লিদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আমরা তাকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।
‘এছাড়া সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় এমপি মামুনুর রশিদ কিরনকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তার অবর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সলসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন চৌমুহনী বড় জামে মসজিদের সভাপতি। তিনি নিজের ঋণ পরিশোধে মসজিদের দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে তিন কোটি ২০ লাখ টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর জাগো নিউজে ঋণ পরিশোধে মসজিদের সোয়া ৩ কোটি টাকা তুলে নিলেন নৌকার প্রার্থী শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে মামুনুর রশিদ কিরনকে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে পরে তার ঘনিষ্ট এক ব্যক্তি কল করে বলেন, মামুনুর রশিদ কিরনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বা অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।
এর আগে সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহ ও চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলসহ ১৫ নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগের ১৫ নেতার অব্যাহতি চান নৌকার প্রার্থী
মামুনুর রশিদ কিরন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকা নিয়ে নোয়াখালী-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ঋণ খেলাপির দায়ে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ঋণ পরিশোধ করায় তা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ (ট্রাক) স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/এএসএম