দেশজুড়ে

প্রথম মন্ত্রী পেয়ে আনন্দে ভাসছে রাজবাড়ীবাসী

প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পাচ্ছে রাজবাড়ীবাসী। এতে আনন্দে ভাসছে পুরো জেলা। পদ্মাবিধৌত ও রেলের শহর রাজবাড়ীতে এই প্রথম পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মো. জিল্লুল হাকিম। তবে তিনি কোন দপ্তরের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা এখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য ডাক পেয়েছেন তিনি।

এর আগে রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী পেয়েছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

এদিকে রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মো. জিল্লুল হাকিমকে মন্ত্রী করার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।

মো. জিল্লুল হাকিম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এবিএম নূরুল ইসলামকে ২৯ হাজার ৯ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এমপি হন। এরপর ২০০১ সালে ২১ হাজার ২২৭ ভোটে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুর কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ৫৯ হাজার ১৪৪ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুকে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে আবারও বিএনপির প্রার্থী নাসিরুল হক সাবুকে প্রায় ৪ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৮ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হককে পরাজিত করেন।

মো. জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো. আবুল হোসেন ছিলেন একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মো.জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমার কমান্ডার ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে তার দুই ছেলে মিতুল হাকিম ও রাতুল হাকিম রয়েছেন। তারাও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

রুবেলুর রহমান/এফএ/এএসএম