ফসলি জমির গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে একটি মোবাইল নম্বর লিখে চিরকুট ফেলে আসে সংঘবদ্ধ চক্র। যোগাযোগ করলে মিটার ফেরত দেওয়ার শর্তে টাকা চাওয়া হয়। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরপরই মিটার কোথায় আছে বলে দেয় তারা।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এমন মিটার চোর চক্রের মূলহোতা আক্কাস আলীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কাহালু উপজেলার মৃত আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে। একই সঙ্গে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে নিজ বাড়ি থেকে আক্কাসকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, ওই ব্যক্তি তার সহযোগীদের নিয়ে বগুড়া সদরসহ কাহালু, নন্দীগ্রাম, শাহজাহানপুর এবং নাটোর জেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমিতে সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে আশপাশে লুকিয়ে রাখে। তারা একটি মোবাইল নম্বর লিখে ঘটনাস্থলে চিরকুট ফেলে যায়।
ভুক্তভোগীরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে চক্রের সদস্যরা জানান, তাদের চাহিদা মতো টাকা না পাঠালে চুরি করা মিটার ভেঙে ফেলবে। যতবার মিটার লাগাবে, তারা ততবারই চুরি করবে। কেউ বাধা দিলে প্রয়োজনে লাশ ফেলবে বলেও হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে ওই চক্রের দেওয়া নম্বরে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরপরই চুরি যাওয়া মিটার কোথায় আছে তারা বলে দেয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার পুনাইল পূর্বমাঠে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লাগানো ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী মন্ডলের গভীর নলকূপের মিটার ও ইউসুফ আলী কাজীর মিটার চুরি হয়। সংঘবদ্ধ চক্র নলকূপের দরজার সঙ্গে মোবাইল নম্বর লেখা চিরকুট রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগের পর নগদের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা পাঠালে চুরি যাওয়া মিটার সরিষা ক্ষেতে লুকানো আছে বলে জানায় চক্রের সদস্য। সেখানে দুটি মিটার পাওয়া যায়।
জেডএইচ/