দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে বসেছে ‘মাছের মেলা’

সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর। আনুমানিক দেড়শ বছর ধরে এ উপজেলায় বসে ‘মাছের মেলা’। প্রতিবছর ১৪ জানুয়ারি পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় এ মেলার। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে মেলা চলছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এ মেলা সোমবার রাতে শেষ হবে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায়, হরেকরকমের মাছের পসরা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। বাঘাইড়, বোয়াল, আইড়, চিতল, কাতলা, রুইসহ নানান জাতের মাছ। মাছ কেনার জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে ক্রেতারা ভিড় করছেন।

দেখা গেলো, কাঠের তৈরি খাট, আলমারি, আলনাসহ নানা আসবাবপত্র নিয়েও বসেছেন কয়েকজন দোকানি। মেলায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামীকাল থেকে মেলায় ভিড় বাড়বে।

ক্রেতারা জানান, মেলায় নানা জাতের বড় আকারের মাছ উঠলেও দাম চড়া। বিক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে মাছ কিনতে হচ্ছে। সবাই নিজের সাধ্যমতো মাছ কিনছেন।

মাছবিক্রেতা বকুল পাল ও অধন পাল বলেন, ‘আমরা সবধরনের মাছ নিয়ে এসেছি। তবে মেলায় বড় মাছের চাহিদা বেশি থাকে। আমাদের বেশি দামে কেনা। এজন্য বিক্রিও করতে হচ্ছে একটু চড়া দামে।’

বাজারে মাছ কিনতে আসা নিমাই মালাকার বলেন, ‘মেলায় অনেক ঘুরেফিরে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে একটা চিতল মাছ কিনেছি। মাছ দেখতে বাচ্চারাও সঙ্গে এসেছে।’

মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর, মনু, ধলই, কুশিয়ারা নদীসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন হাওরের মাছের উপর নির্ভর করে প্রতিবছরই বসে এ মেলা। মৎস্যজীবীরা মেলায় মাছ বিক্রির জন্য ৫-৬ মাস আগে থেকেই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে রাখেন। মাছগুলো বিশেষ ব্যবস্থায় পানিতেই তাজা রাখা হয়।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, মাছের মেলাকে কেন্দ্র করে মেলায় বা আশপাশ এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ, জুয়া, পুতুল নাচ, অশ্লীল নৃত্যসহ যাত্রাপালা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এসআর/জিকেএস