মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তাকে কুষ্টিয়ার ম্যাটসে (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বদলি করা হয়। তবে তিনি এখনো নতুন কর্মস্থলে যাননি বলে জানা গেছে।
একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তার পদে থাকা অবস্থায় মেডিকেল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন ডা. সোলায়মান হোসেন। চার সপ্তাহের বেশি সময় তিনি কারাগারেও ছিলেন। পরে জামিনে বেরিয়ে নিয়মিত ঢাকার আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন। এসব ঘটনার সবকিছুই সুকৌশলে গোপন রেখেছিলেন তিনি। এ কারণে বরখাস্ত হওয়ার বদলে উল্টো পদোন্নতিও পেয়েছিলেন। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে চাকরিও করছেন। অবশেষে এসব ঘটনা জানাজানির পর কর্মস্থল থেকে তাকে অন্যত্র বদলি করলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৩৩ তম বিসিএসে নিয়োগ পান ডা. সোলায়মান হোসেন। তিনি ২০১৭ সালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) পদে কর্মরত ছিলেন। মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ওই বছরের ৮ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কারাগারে থাকার কথা গোপন রেখে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে চালিয়ে দেন ডা. সোলায়মান মেহেদী। ২০১৮ সালের ৫ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৩ দিনের ছুটি মঞ্জুর করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদান করেন।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদীকে কুষ্টিয়া ম্যাটসে বদলি করা হয়েছে। মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত হয়েছে।
এসআর/জিকেএস