নওগাঁয় ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযানে ১০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) নিয়ামতপুর, সাপাহার, ধামইরহাট ও সদর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করা হয়।
নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপম দাস, সাপাহারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন, ধামইরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন ও সদরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শওকত মেহেদী সেতু এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলাম মওলা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে এক হাজার ৮০০ মণ ধান মজুত করায় জাহাঙ্গীর শেখকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার ৫০০ মণ ধান অবৈধভাবে মজুত করায় রুহুল আমিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাপাহারে লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে দুইজনকে যথাক্রমে ১৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ধামইরহাটে লাইসেন্সবিহীন ধান মজুতের দায়ে কৃষি বিপণন আইনে দুইজনকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুত রাখা ও লাইসেন্সবিহীন রাইসমিল পরিচালনায় চার মিল মালিককে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। সেইসঙ্গে সাতদিনের মধ্যে সবাইকে মজুত করা ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেওয়া হয়।
সেইসঙ্গে সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণা-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জাগো নিউজকে বলেন, ধান-চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলার বিভিন্ন স্থানে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মশিউর রহমান/এনআইবি/জেআইএম