মোবাইলের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় নববধূর গলা কেটে হত্যা করেন আব্দুল হামিদ। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
আব্দুল হামিদ আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক এরশাদ মিয়া জানান, প্রায় আট মাস আগে মোবাইলে তাসলিমা আক্তারকে বিয়ে করেন আব্দুল হামিদ। ৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে তাসলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শ্বশুরবাড়িতে আসার পরদিন থেকে তাসলিমা মুঠোফোনে টিকটক দেখতো এবং ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং করতেন। নববধূর এ আচরণ হামিদের নজরে পড়ে। এরমধ্যে তাসলিমার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন তারা। ফেরার পর তাসলিমার কাছে মোবাইলের পাসওয়ার্ড চায় হামিদ। কিন্তু তিনি পাসওয়ার্ড দেননি। তার ওপর ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার তাসলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চান। এতে হামিদের আরও সন্দেহ হয়। পরে হামিদ ৩০০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে ছুরি কিনে ঘরে রাখেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাসলিমাকে জবাই করে হত্যা করেন হামিদ। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান। বুধবার ভারত সীমান্ত থেকে হামিদকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, গ্রেফতারের পর আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়। জবানবন্দিতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস