জাতীয়

১২ বছর পর রাসায়নিক গুদামের ট্রেড লাইসেন্স দিলো দক্ষিণ সিটি

নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর পুরান ঢাকা থেকে শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় রাসায়নিক গুদাম (কেমিক্যাল গোডাউন) হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) প্রদান করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর ফলে দীর্ঘ এক যুগ পর রাসায়নিক গুদাম হিসেবে প্রথম কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য করার অনুমতি দিলো দক্ষিণ সিটি।

Advertisement

শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক রাজধানীর শ্যামপুরে বাস্তবায়িত ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য নির্মিত গুদাম’ প্রকল্পে স্থানান্তরিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেসার্স রয়েল টন লেকার কোটিং’ নামক রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য অনুমতি নবায়ন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানকে নবায়ন করা এই বাণিজ্য অনুমতি দেয়।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, শ্যামপুরে স্থানান্তরিত হওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্যান্য সব রাসায়নিক গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও সেখানে স্থানান্তরিত হবে। নিরাপদ হবে আমাদের পুরাতন ঢাকার সামগ্রিক পরিবেশ।

Advertisement

আরও পড়ুন>> নিমতলী-চুড়িহাট্টা-বনানীর ঘটনায় কিছু হয়েছে?

যারা স্থানান্তরিত হবে না পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্যামপুরে অস্থায়ী ভিত্তিতে যে রাসায়নিক গুদামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অগ্নি নির্বাপনের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া খোলামেলা পরিবেশ হওয়ার সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও অনেক কম। পাশাপাশি এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩১০ একর জায়গার উপর যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এসব রাসায়নিক গুদাম ও প্রতিষ্ঠান যদি সেখানে স্থানান্তরিত না হয় তাহলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।

এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement